বার্তা পরিবেশক :: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির চকরিয়া পৌর কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম। ওই সময় বিএনপি অফিসের ডিজিটাল সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে তা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. শফির দোকানেও তালা লাগানো হয়। যদিও পরে ডা. শফি তালা ভেঙে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকালে এই ঘটনা ঘটানো হয়। সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে ৪টি গাড়ির একটি বহর থেকে ওই হামলা ও তালা লাগানোর ঘটনা ঘটানো হয়। এমনটাই দাবি করেছেন চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক ও চকরিয়া পৌর বিএনপির আহবায়ক আবুল হাশেম।
এই ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না নিন্দা জানিয়েছেন। একই সাথে তাঁরা এমপি জাফর আলম ও তাঁর ‘ক্যাডার বাহিনী’র এহেন কর্মকান্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।
চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক জানান, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এমপি জাফর আলমের নেতৃত্বে ৪টি গাড়ির বহর নিয়ে এসে একদল ক্যাডার চকরিয়ার মগবাজার এলাকাস্থ পৌর বিএনপির কার্যালয়ে এসে ভাঙচুর চালায়। তারা বিএনপি কার্যালয়ের ডিজিটাল সাইনবোর্ডটি ভাঙচুর করে। পরে সেটি দূরে নিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
এনামুল হকের দাবি, ওই সময় বিএনপি অফিস তালাবদ্ধ ছিল। এমপি জাফরের নেতৃত্বে হামলাকারিরা ওই তালার উপর আরেকটি তালা লাগিয়ে চলে যায়।
চকরিয়া পৌর বিএনপির আহবায়ক আবুল হাশেম জানান, সোমবার ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পৌর বিএনপি কার্যালয়ে বিএনপির নির্ধারিত সমাবেশ ছিল। বিকেল ৩টায় ওই সমাবেশ শুরু হয়ে মাত্র ৪৫ মিনিটেই শেষ হয়ে যায়। ওই মিটিং শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই এমপি জাফরের নেতৃত্বে ৪টি বহর নিয়ে সন্ত্রাসিরা এসে বিএনপি অফিসে হামলা চালায়। ওই সময় নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা বিএনপি অফিসের ডিজিটাল সাইনবোর্ডটি ভাঙচুর করে নিয়ে যায়। পরে একটু দূরে নিয়ে সেটি জ্বালিয়ে দেয়।
তিনিও দাবি করেন, এমপির নেতৃত্বে হামলাকারিরা বিএনপি কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়।
চকরিয়ার একাধিক সুত্র থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে ৪টি গাড়ির বহর নিয়ে সোমবার সারাদিন শো-ডাউন করা হয়েছে। ওই গাড়িবহরটি উপজেলার খুটাখালী থেকে শুরু করে বরইতলী পর্যন্ত টহল দিয়েছে। ওই সময় খুটাখালীতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. শফির ব্যবসায়িক কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। পরে চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকায় পৌর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর এবং তালা লাগানোর ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য জাফর আলম ও আওয়ামী লীগের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত: